দৈনিক প্রত্যয় ডেস্কঃ বিশ্বজুড়ে সমস্ত স্টোর স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল মার্কিন প্রযুক্তি কোম্পানি মাইক্রোসফট। শুক্রবার সংস্থার পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে একথা জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, করোনা সংক্রমণের কারণে অন্যান্য সংস্থার মতো মাইক্রোসফটও গত মার্চ মাসের শেষের দিকে তাদের সমস্ত স্টোর সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছিল। এই স্টোরগুলোর দরজা আর কোনও দিন খুলবে না।
সংস্থার ওয়েবসাইটে প্রাপ্ত তথ্যানুসারে, বিশ্বজুড়ে মাইক্রোসফটের মোট ৮৩টি স্টোর আছে। এর মধ্যে শুধুমাত্র আমেরিকাতেই আছে ৭২টি। বাকিগুলো বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। এই সমস্ত স্টোরে নিজেদের বিভিন্ন ল্যাপটপ এবং হার্ডওয়্যার বিক্রি ও প্রদর্শন করে তারা। মাইক্রোসফটের মতে, বর্তমানে তাদের খুচরা ব্যবসা মূলত অনলাইন নির্ভর হয়ে পড়েছে। যে কারণে ‘রণকৌশল বদলে’ এই সমস্ত স্টোর বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছে তারা।
এদিকে, ওয়াশিংটনে প্রতিষ্ঠানের সদর দফতর ছাড়াও নিউইয়র্ক, লন্ডন এবং সিডনিতে হাই-প্রোফাইল মাইক্রোসফট এক্সপিরিয়েন্স সেন্টারে স্টোর আছে। সেগুলো সম্পর্কেও নতুন করে চিন্তাভাবনা শুরু করেছে এই সংস্থাটি।
করোনা সংক্রমণের জেরে বিভিন্ন সংস্থা তাদের ব্যবসার রণকৌশলে আমুল পরিবর্তন এনেছে। এমনকি, বহু সংস্থা কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে যাচ্ছে। তবে স্টোর বন্ধ হলেও কোনও কর্মীর চাকরি যাবে না বলে আশ্বস্ত করেছে সফটওয়্যার জায়ান্ট মাইক্রোসফট। এই সমস্ত স্টোরে কর্মরত প্রত্যেক কর্মীর বিকল্প কাজের সুযোগ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে তারা।
স্টোর বন্ধ করার জন্য প্রায় ৪৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রতি শেয়ারে ৫ সেন্ট করে প্রি-ট্যাক্স চার্জ পড়বে বলে জানিয়েছে মাইক্রোসফট করপোরেশন। আগামী ৩০ জুন শেষ হতে চলা চলতি ত্রৈমাসিকের আর্থিক ফলাফলে চার্জ প্রতিফলিত হতে চলেছে বলে জানিয়েছে তারা।
সূত্র: নিউজ মাইক্রোসফট, টেকনিকা, দ্য ভার্জ
ডিপিআর/ জাহিরুল মিলন